বর্তমান
বিশ্বে সবার মুখে একটাই আতঙ্ক “নোবেল
করোনা ভাইরাস”।
সবধরনের মানুষই এই ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত। অত্যন্ত দুঃখের সাথে একটা বিষয় বলছি আমি
যেদিন এই লেখাটা লিখছি ততদিন মৃত্যুর মিছিলে শীর্ষে অবস্থান করছে ইতালি। ক্রিকেট
খেলার স্কোরকার্ডের মতো আমরা এখন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আপডেট নিচ্ছি। এটা সত্যিই
অনেক দুঃখজনক ব্যাপার মানবজাতির জন্য। মানুষ হিসেবে যদি আমরা কল্পনা করি আমারা
অনেক অসহায় সত্যিই আমরা অনেক অসহায়। আমরা এরকম অসহায় কবে হয়েছি সেটা আমি আমার
জীবদ্দশায় দেখি নি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এরকম পরিস্থিথির সম্মুখীন আমাদের
যেনো আর হতে না হয়। সমগ্র বিশ্বব্যাবস্থা যেনো সুন্দরভাবে চলে, সবাই
যেনো সবাইকে বুঝি, কেউ যেনো কাউকে দেখে হিংসা না করি। এরকম বিশ্বব্যবস্থা সত্যিই
সম্ভব- যদি আল্লাহ চান। ইউরোপের মানুষ
এশিয়া-আফ্রিকার মানুশকে ঘৃণা করে এটা সত্যিই খুব খারাপ। এখন
প্রেক্ষাপটটা যদি পরিবর্তন হয়ে যায় সেটাও খুবই দুঃখজনক হবে।
বর্তমান
ইউরোপের দিকে তাকালে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। করোনা ভাইরাস সমগ্র ইউরোপের মানসিকতা
যেভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে এরকম আর কিছুদিন চললে দক্ষিণ এশিয়ার
রোহিঙ্গা জাতির কাছে ইউরোপের যেকোনো দেশ যুদ্ধে হেরে যাবে। আমি চাই না এরকম খারাপ
পরিস্থিতি তৈরি হোক। আমরা সবাই মানুষ, মানুষ হিসেবে আমাদের বাঁচতে হবে। মানুষ হয়ে
অমানুষের মতো বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না। এইসব অমানবিক কাজের জন্য সুন্দর
পৃথিবীটা ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। নোবেল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীন থেকে, এই ভাইরাসটা বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে। বাদুড় খাওয়ার কোনো উত্তম জিনিসের মধ্যে পড়ে বলে আমার মনে হয় না। চীনারা বা মুসলমান
বাদে পৃথিবীর অন্যান্য সম্প্রদায় এরকম অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে বেড়ায়।,আপনি মানুষ আপনি
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জীব আপনার জন্য রয়েছে উন্নতমানে খাবার তাহলে আপনি কেনো এসব
খাবার খাবেন যার জন্য পুরো মানবজাতি হুমকির সম্মুখীন হবে।
চীনে ব্যাপকভাবে নোবেল করোনা ভাইরাসের ছড়াছড়ির পর এখন সংক্রমণব্যাধী এই ভাইরাসটি
ইউরোপে আঘাত হেনেছে। আশাকরি এই বছর এই ভাইরাসটি ইউরোপেই সমাপ্তি ঘটবে। আমি আরো আশা
করি এই ভাইরাসটি দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। পরের বছরের জন্য
আমরা যেনো এই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারি। এটার জন্য আমাদের
জীবনব্যবস্থা সুন্দর করলেই হবে। হ্যা, আমি আবারো জোর দিয়ে বলছি আমরা যদি আমাদের
জীবনব্যবস্থাকে সুন্দর করতে পারি তাহলে এই ভাইরাসটি আমাদের কাবু করতে পারবে না।
যতদিন না এই ভাইরাসটির জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় ততোদিন আমরা পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে এবং
আমাদের নোংরা চিন্তাভাবনা সরিয়ে ফেললে এই ভাইরাস থেকে অনেকটা বেঁচে থাকা যাবে বলে
আমার মনে হয়।
দক্ষিণ
এশিয়ায় নোবেল করোনা ভাইরাস না ছড়ানোর কিছু কারণ-
১।
এটা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে নিয়ামত বলতে
পারেন, দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশই উন্নয়নশীল। আমি যদি বাংলাদেশের কথা বলি
আমাদের দেশে ১০০০/২০০০ জন মানুষ মারা গেলে এটা আমরা সামলে নিতে পারবো
কিন্তু ইতালির মতো ৬০০০/৭০০০(চলছে) জন মারা গেলে
আমাদের দেশটা নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষের আবেগ একটু
বেশি।
২।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষ যেসব খাবার খায় সেসব খাবার শরীরের জন্য
ভালো। এই অঞ্চলের মানুষজন এমন কোনো খাবার খায় না যেখান থেকে
ভাইরাস ছড়াতে পারে। মুসলমান বাদে কিছু কিছু সম্প্রদায় শূকড় খায় এটা শরীরের জন্য
ক্ষতিকর তবে যারা খায় তারা চীনাদের মতো অবাধে শূকড় খায় না। তারা লুকিয়ে লুকিয়ে
খায়। তবে যাই হোক এই শূকড় খাওয়াও উচিত না।
৩।
এই অঞ্চলের মানুষের গায়ের রঙ কালো হতে পারে কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিদিন গোসল
করতে খুব ভালোবাসে সেটা শীতকাল হোক আর গরমকাল হোক। গরমকাল হলে তো দিনে ২/৩ বার
গোসল করে। যেখানে ইউরোপ অঞ্চলের মানুষ অনেকদিন পর পর গোসল করে যদিও তাদের দেশ
শীতপ্রধান দেশ এইজন্যই তারা এমনটি করে। কিন্তু তাদের জীবনব্যবস্থা অনেক উন্নত তারা
চাইলেই প্রতিদিন গোসল করতে পারে।
৪।
আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অন্যান্য মহাদেশের দেশগুলোর মতো অবাধ বিচরণ একটু
কম হয়। হ্যা আমাদের এই অঞ্চলেও নাইটক্লাব আছে,পতিতালয় আছে কিন্তু আমদের এই অঞ্চলের
সরকার এইগুলোর উপর কঠোর নজরদারি করে। তাছাড়া আমাদের দেশের খুব কম লোকজন ঐসব জায়গায়
যায় আর যারা যায় তারা লুকিয়ে লুকিয়ে যায়।
একটা
কল্পকাহিনী দিয়ে লেখাটা শেষ করি, চীনে নোবেল করোনা ভাইরাস গত বছরের ডিসেম্বরে
ছড়িয়েছে এবং বর্তমান সময়ে এই ভাইরাসটি চীনের নিয়ন্ত্রনে আছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারী –
মার্চে সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি চীনের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে
ইতালি,স্পেন,যুক্তরাষ্ট্র সহ উন্নত দেশগুলোতে কিন্তু সেই হিসেবে বাংলাদেশে তেমন
খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে না এর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের দেশের মানুষ এবং সরকার
আমরা সবাই খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছি এমনকি আমরা আমাদের স্বল্পতার মধ্য থেকে
এই ভাইরাস থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি। আর আমাদের দেশের ডাক্তাররা তো এক একটা কলিজা
তাঁরা যেকোনো পরিস্থিতে আমাদের পাশে আছে। ব্যাপারটা যদি এরকম হয় বাংলাদেশের
আবহাওয়া নোবেল করোনা ভাইরাস দমনের জন্য উত্তম। অন্যান্য দেশ থেকে রোগী আসছে
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাস করার জন্য এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য নোবেল করোনা ভাইরাস থেকে
বাঁচা। তখন ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ
আমেরিকা,ওশেনিয়া,আফ্রিকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে লোক আসছে বাংলাদেশে সুস্থ্য হওয়ার জন্য।
ব্যাপারটা কিন্তু রোমাঞ্চকর।
এরকমটি
যেনো না হয়, আল্লাহ সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করুন। মানবজাতি
তাদের ভুল বুঝে শান্তিতে বসবাস করুক এই আশা করি।