Sunday, July 21, 2019

ছেলেধরা সন্দেহে এক মায়ের গণপিটুনী এবং বাংলাদেশের কান্না

বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নজর দিলে একটি বিষয় উপলব্ধি হয় যে, বর্তমান বিশ্বে সমস্যা ব্যাপক কিন্তু সমাধানের পথ অল্প। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সমস্যা এতোটাই প্রকোপ যে এর থেকে বের হওয়ার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে এখান থেকে পরিত্রানের। 

আমার মনে পড়ে, আমি যখন খুবই ছোট ছিলাম ৩-৪ বছর বয়স হবে হয়তোবা; তখন সর্বত্র ছেলেধরা কথাটা ছড়িয়ে পড়ছিলো। আমার বাবা-মা আমাকে যথেষ্ট সাবধান করতো এবং ভয় দেখাতো, আমি যেনো অপরিচিত কারোর সাথে কথা না বলি। রাস্তা দিয়ে কোন প্রাইভেট কার যদি ধীরে ধীরে চলতো তাহলে সেটা ছেলেধরাদেরই গাড়ি ছিলো বলে ভাবতাম। এসব গুজবের সাথে আমি ছোটকাল থেকেই যথেষ্ট পরিচিত। কিন্তু আজ এই বিংশ শতাব্দীতে এসে মনে হচ্ছে আমি সেই নব্বই'র দশকে চলে এসেছি। গতকাল খবরে শুনলাম ছেলেধরা সন্দেহে এক মা কে গণপিটুনী দিয়ে মারা হয়েছে; সেখানে শত-শত লোক উপস্থিত ছিলো কিন্তু গুটি কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল খারাপ লোকদের সিদ্ধান্তে প্রাণ গেলো এক মায়ের। হে উচ্ছৃঙ্খল খারাপ লোক তুই/তোরা কোন চ্যাটের বাল বা তুই/তোরা কোন মহারথী যে তোরা নিরাপরাধ এক মা কে মেরে ফেলেছিস। তোদের কেউ কী দায়িত্ব দিয়েছে ছেলেধরা ধরার? নরম জায়গায় ঠিকই তো আঘাত করতে পারো। যাও না একজন ধর্ষককে গণপিটুনী দিয়ে মার; সেটা তো পারবে না। যে ধর্ষক, আমরা সবাই জানি এবং বুঝি সে ধর্ষন করেছে তবুও পাবলিক তাদের গণপিটুনী দেয় না। আর এক মা, তাকে শুধু সন্দেহের বশে বসে গণপিটুনী দেয়া হয়। এটা কোন ধরনের মানবতা! হ্যা এটাই আমার বাংলাদেশের কান্না। আজ এক মা ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনীতে মারা গেছে, সেই মায়ের স্থানে আমরা যদি নিজ নিজ মাকে বসাই তাহলে আমাদের কেমন অনুভূতি হবে? এটা সবার কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। 
যদি কেউ পারেন বা যাদের সামর্থ্য আছে এই মায়ের পরিবারের পাশে একটু দাঁড়ান এবং নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেন। 

Saturday, March 30, 2019

আগুন! আগুন! ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন।

কাজের প্রতি ভালোবাস \






আগুন! আগুন! আগুন!...........আজকে চারিদিকে শুধু আগুন আগুন আগুন শব্দে মুখরিত বাংলাদেশ। আগুন শব্দটা শুনলেই আমাদের ভয় লাগে। তবে এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই,আমি এখানে ভয়ের কিছুই লিখছি না। আমরা ছোটকালে যারা মীনার কার্টুন দেখেছি তখন মীনার কার্টুনের এক পর্বে রাজু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে রান্না করতে গিয়ে আগুন ধরিয়ে ফেলে,আগুন আগুন বলে এমন চিৎকার মেরেছিলো সেই চিৎকার এখনো আমার কানে বাজে। তবে রাজুর আগুন ধরানোর চেয়ে আমি ওখানে শুধু ধোঁয়ায় দেখতে পেয়েছিলাম।
এইতো কিছুদিন আগে বনানীর ফারুক-রুপায়ন (FR) টাওয়ারে আগুন লেগেছিলো।আজকে রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি’র মার্কেটে আগুন লেগেছে। তবে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মকর্তারা তাদের দক্ষ হাতে সব নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তাদের জন্য আমার অনেক গর্ব হচ্ছে। আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা শুধু তাদের কাজটাই সম্পাদন করে না,তাদের কাজের মধ্যে যে ভালোবাসা,সম্মান আছে সেটা আমাকে অনেক বেশি আকর্ষন করেছে। ছোটকাল থেকে একটা জিনিস খেয়াল করছি যখন আমাদের আশেপাশে একটা অঘটন ঘটে তখন সেই অঘটনের সাথেই কিছুদিন পরপর আরো কিছু অঘটন ঘটে। এই যেমন ধরেন কোনো এলাকায় যদি কেউ মারা যায় তার কিছুদিন বাদে কেউ না কেউ মারা যাবেই। আবার কোনো জায়গায় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলে সেই দূর্ঘটনা ঘটার রেষে কাটতে না কাটতেই আরোও কিছু দূর্ঘটনা তার পাশাপাশি ঘটে যাই। আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এটাই হয়। আমার কাছে এটাকে আবেশ প্রক্রিয়ার মতো মনে হয়। আমি অনেক ধর্মভীরু একজন মানুষ। আসলে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে তার সবকিছুই আল্লাহ চাচ্ছে বিধায় হচ্ছে। আল্লাহ যদি না চাইতো এসব কিছুই ঘটতো না।
সম্মান,শ্রদ্ধা
আমাদের দেশে যে পরিমাণে আগুন লাগা ধরছে,আল্লাহ না করুক এরকম আগুন লাগা যদি আরোও লাগতে থাকে তাহলে আমাদের দেশের  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা নির্দ্ধিদায় আন্তর্জাতিক মানের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী হয়ে যাবে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। তখন বাইরের দেশে কোথাও যদি আগুন লাগে তাহলে তারা আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের হায়ার করবে। এখান থেকে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। পরিশেষে,আমি বলতে চাই আল্লাহ তুমি আমাদের দেশের উপর তোমার রহমত দান করো।আমাদের সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করো। আমরা যেনো সবসময় তোমার পথে থাকতে পারি।

আল্লাহ তোমাকে অনেক ভালোবাসি।  
















Monday, March 25, 2019

সারভাইভিং ৭১


আজকে শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন রাত আটটার দিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলাম তখন সাইবার ৭১ এর ফেসবুক পেজে দেখলাম একটা পোস্ট দেয়া 'আজকে রাত ৯ঃ০০টা থেকে ৯ঃ০১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশ ব্লাকআউট হয়ে যাবে। তখনই আমি বুঝতে পারছি আজকে তো সেই ভয়াল ২৫শে মার্চ। তারপর ইউটিউবে একটা মুভির টিজার দেখলাম সেটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা আপকামিং মুভি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তো অনেক মুভিই তৈরি হয়েছে তবে আমার কাছে এটা খুব ভালো লেগেছে। আশা করি সবার কাছেই এই মুভিটা খুব জনপ্রিয় হবে। কারণ, এটাই বাংলাদেশের প্রথম এনিমেটেড মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র। আমি যদিও মুভির জগতের মানুষ না। আমি এই সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে পারব না। তবে টিজার দেখে ভালো লাগা থেকে এই লেখাটা লিখছি। আর চাচ্ছি সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে। আমি মুভির টিজার এখানে শেয়ার করবো।জানি না এখানে ভিডিওটা শেয়ার করাটা কতোটা যৌক্তিক হবে। তবুও আমি আমার ভালো লাগা থেকে এটি করতে চাই। এবং অবশ্যই এর পেছোনের কারিগরদের সম্মান জানাই। যিনি/যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক মানের এনিমেশন মুভি উপহার দিয়েছেন। আমি যতটুকু জেনেছি এই মুভিটির রাইটার,ডিরেক্টর এবং প্রডিউসার একজনই "ওয়াহিদ ইবন রেজা"। তিনি নাকি হলিউডে সফল এনিমেশন মুভি নির্মাতা ছিলেন। তিনি যেনো তাঁর এই কাজটাও সফলতার সাথে করতে পারেন এই আশা করি। 
ও হ্যা,আপনারা টিজারটি দেখুন এবং উন্নতমানেরে এনিমেশন মুভি দেখার আশায় বসে থাকুন।
 

যদি কেউ স্বৈরাচার শাসক দেখতে চান তাহলে আপনি বাংলাদেশের এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান যেখানে রাজনীতি নিষিদ্ধ।


আজ আমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চের ভাষণের কথা খুবই মনে পড়ছে। তাঁর ভাষনের মতোই আমার খুব বলতে ইচ্ছে করছে-  “ভাইয়েরা আমার আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।“ আসলে আজকে আমি খুবই ব্যথিত। আমি সঙ্গত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিতে চাচ্ছি না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে আমার পদাচরণ। যখন আমি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি তখন রাজনীতি ছিলো না বললেই চলে। তখন ক্যাম্পাসে শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীদের দাপটের কাছে আমরা ছাত্ররা অনেক তুচ্ছ ছিলাম। তবে তখনও এতোটা খারাপ লাগতো না। কারণ, জীবনের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতো বড় একটা জায়গা পেয়াছি। চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন। আসলে তখন ভাব-সাবই অন্যরকম ছিলো। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা সব সময় একটা কাজ বেশি করে থাকে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সামনে ছোট হতে না দেয়া। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বালছাল। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কুকর্ম অন্যের কাছে তুলে না ধরে নিজেরা মনে মনে পুষে রাখি।
যাই হোক দেখতে দেখতে প্রথম বর্ষ, প্রথম সেমিস্টার পার হয়ে গেলো। প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টার এর প্রথমে এসেই রাজনীতির স্বাদ পেলাম। এই স্বাদ যে এতো তিক্ত হবে সেটা তখনো বুঝিনি। আড়াই বছর রাজনীতির তিক্ত স্বাদ পাওয়ার পর, এখন বুঝতেছি ঐ তিক্ত স্বাদের মধ্যেও একটা মজা ছিলো। বাক স্বাধীনতা বাদে,বাদ বাকি সকল স্বাধীনতাই তখন বিরাজমান ছিলো। তখন আমাদের একটা সম্মান ছিলো। শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীরা তখন আমাদের সাথে ধুনফুন করতে পারতো না। সবাই একটা ভয়ে থাকতো। এটার মজাই অন্যরকম ছিলো। রাজনীতির তিক্ত স্বাদের মধ্যে যেগুলো সবাচাইতে খারাপ লাগতো- সেটা হলো কথা নাই বার্তা নাই মিছিল করো। এই মিছিল কি শুধু একদিনের মিছিল? সাপ্তাহিক মিছিল, মাসিক মিছিল, ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক মিছিল,ব্যাচ ভিত্তিক মিছিল ইত্যাদি। আর কোনো দিবস থাকলে অথবা ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি আসলে তো সেদিন পোলাপানদের নাওয়া,খাওয়া বন্ধ করে মাঠে থাকতে হতো। এটা তো গেলো কেন্দ্রীয়ভিত্তিক মিছিল এবার আসি হল ভিত্তিক মিছিলে। হলের যেই কয় তলা আছে সেই কয় তলা ভিত্তিক মিছিল। হলে যতোগুলো ডিপার্টমেন্ট আছে  তাদের আবার আলাদা আলাদা মিছিল।এইসব তিক্ততার মধ্যেও মজা ছিলো। সবার ভেতরে একটা ক্ষমতা ক্ষমতা ভাব ছিলো।
যখন দুই গ্রুপের দ্বন্দের কারণে ক্যাম্পাসে রাজনীতি একদম নিষিদ্ধ হয়ে গেলো তখন শিক্ষকরা আমাদের পেয়ে বসলো। শিক্ষকরা আমাদের বলতে থাকলো এইবার পালাবি কোথায়। তাদের  স্বৈরাচারী শাসন শুরু হতে থাকলো হল থেকে। কথা নাই বার্তা নাই হল প্রভোস্ট যখন তখন হলে এসে প্রত্যেক তলায় তলায় যেয়ে ছাত্রদের ওমক সমস্যা,তমক সমস্যা বলে বকা দিতে থাকে। কিন্তু, হলে যে তাদের সীমাবদ্ধবতা আছে এই কথা তারা স্বীকার করতে নারাজ। যতো দোষ সব ছাত্রদের। আবার যখন তখন হলে রেট দেওয়া সেটা তো আছেই। এইবার যদি আমরা একাডেমিকের দিকে তাকাই, রাজনীতি থাকার সময় রাজনৈতিক এক নেতার সাথে এক শিক্ষকের খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো এখন সেই শিক্ষক শুধু ঐ একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য পুরো ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ইচ্ছে করে তাদের ক্লাস নেন না সেই মহান শিক্ষক। এইসব সব সহ্য করা যায় কিন্তু যখন ঐ বিষয়টার জন্য শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে ৬ মাস নষ্ট করে দেন তখন বলেন শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে। আর শিক্ষকদের মন-মর্জিমতো সবকিছু তো আছেই। এইসব কথা বলতে থাকলে মন থেকে শুধু কষ্টের কথায় বের হবে। তাই আজকে আর না লিখে আমি আমার লেখার ইতি টানি।  
আসলে আমাদের বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ সত্যিই একটু অবহেলিতো। আমাদের এমন কোনো নায়ক নেই যে শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাববে। আমাদের সবখানে রাজনীতি আর স্বৈরাচার  শাসন বিদ্যমান। আমরা এমন একটা দেশ না পারি সিদ্ধান্ত নিতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করাতে। ঠিক তেমনই আমাদের দেশের ভেতরে সকল প্রতিষ্ঠানি নড়বড়ে। এইসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যদি আমারা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করি তাহলে আমরা সবচাইতে বড় ভুল করবো। আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। এটা যেমন মেনে নিতে হবে ঠিক তেমনি আমাদেরকে এটাও মেনে নিতে হবে আমাদের প্রচুর সম্ভাবনাও আছে। কারন, আমাদের আছে মানবশক্তি, আমাদের আছে উচ্চমানের মেধাবী মানুষ যারা বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে প্রস্তুত শুধু সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে করতে পারছে না।

Sunday, March 3, 2019

সফল হওয়ার জন্য আপনি হাতে অনেক অপশন পাবেন কিন্তু জীবন কিন্তু আপনার একটাই



মানুষ জীবনে কতো বছরই বা বাঁচে। কিন্তু,এই ছোট্ট জীবনে মানুষের কতো শত চিন্তা-ভাবনা। এইসব চিন্তা-ভাবনার কথা লিখতে গেলে কলমের কালি,খাতার পৃষ্ঠা ফুঁড়িয়ে যাবে তবুও তার চিন্তা-ভাবনা শেষ হবে না কখনো। আসলে মানুষের মনকে সন্তুষ্ট করা অনেক কষ্ট। মনটা শুধু চাই আর চাই। অনেকে তিন বেলা পরিমাণমতো খাবার পায় না। আবার অনেকে এতো খাবার খায় যেটা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশিআবার অনেকে আছে তাদের একবেলার খাবার কিভাবে জুটবে সেটাই তারা জানে না। যারা অতিরিক্ত খাবার খাচ্ছে বা যারা খাবার যোগাড় করতে পারছে না তাদের দুইজনেরই দিন কিন্তু চলে যাচ্ছে। আসলে আল্লাহ মানুষের রিজিক এর ব্যবস্থা আগে থেকেই ঠিক করে রাখছেন।
আমাদের সকলেরই উচিত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার না খাওয়া। কিন্তু মনটা তো আমাদের এটা চাই না। আমাদের মন চাই আমরা যেনো গলা পর্যন্ত খাবার খাই। এমনকি আমরা খাবার নিয়ে এতোটাই ভাবি যে,আমরা এই বেলায় কি খাবো,ঐ বেলায় কি খাবো, এসব সারাদিন ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের জীবনের মূল কাজগুলোতে সময় খুবই কম দিই। ফলাফলস্বরূপ জীবনে আমরা ব্যর্থ মানুষ হিসেবে পরিচিত হই। আমরা যদি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর জীবনের দিকে তাকাই- তার ঘরে তিন মাস যাবত চুলা জ্বলতো না। কিন্তু,তিনি কি বেঁচে থাকতেন না? অবশ্যই তিনি আমাদের চাইতে অনেক সুন্দর ভাবে বেঁচে ছিলেন। তিনি আমাদের মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। শুধু রান্না করা বাদেও এমন অনেক শুকনা খাবার আছে যেটা খেয়ে বেঁচে থাকা যায়।
একজন মানুষ সফল হওয়ার পরেও সে সন্তুষ্ট থাকে না। সে জীবনে আরও বড় হতে চাই। আবার একজনের অনেক টাকা আছে তবুও সে সন্তুষ্ট না। সে জীবনে আরও টাকার মালিক হতে চাই। আমরা ছোটকাল থেকে এই পর্যন্ত বড় হয়েছি, এই ৬০-৭০ বছরের জীবনে আমারা অনেক কাজে ব্যর্থ হয় আবার অনেক কাজে সফল হয়আমরা যখন একটা কাজে ব্যর্থ হয় তখন সেই কাজটা আবার খুব সতর্কভাবে নতুনভাবে শুরু করি যাতে করে এবার সফল হয়। অথবা ব্যর্থ কাজটা বাদ দিয়ে আবার নতুন কাজ শুরু করি। আমাদের সবার জীবনের গল্প এইদিক থেকে প্রায় একই। সেটা সফল ব্যক্তি হোক আর অসফল ব্যক্তিই হোক, সবাই সবার হাতে অফুরন্ত সুযোগ রেখে যেকোনো কাজ করে। একবার ভেবে দেখুন আমাদের জীবনে সকল কাজে আমরা কত শত সুযোগ রেখে এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের জীবন কিন্তু একটাই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবন মাত্র একবারই দিয়েছেন, তিনি এখানে কিন্তু কোনো সুযোগ হাতে রাখেনি যাতে করে আমরা এই জীবনে যদি ঠিকমতো না চলি তাহলে পরের জীবনে পুষিয়ে নিবো। এই সুযোগটা কিন্তু আমাদের হাতে নেই। এক্ষেত্রে এটা কিন্তু একটু বেশিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাই।

Wednesday, February 27, 2019

আমার মনের কথা ১



আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। সব-সময় নিজেকে নিয়ে ভাবতে একটু বেশি ভালোবাসি, এটার মানে আমাকে স্বার্থপর ভাববেন না। কারন,নিজেকে নিয়ে ভাবার পাশাপাশি আমি মানুষকে সাহায্য করতেও অনেক পছন্দ করি। এটা সবসময় আমাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু,লোকলজ্জার ভয়ে মানুষকে সাহায্য করতে আমি একটু পিছপা হয়। আমি সবসময় নীরবে থাকতে পছন্দ করি। আমি চাইনা আমাকে নিয়ে কেউ আলোচনা করুক। এটার জন্য আমাকে দেমাগী ভাবার দরকার নাই কারন আমাকে নিয়ে কেউ আলোচনা করলে আমার খুব লজ্জা লাগে। দেখেনতো কি একটা অবস্থা।


তো যাই হোক,আমি ছোটকাল থেকেই একটু দূরন্ত-প্রকৃতির ছিলাম এবং একটু নাছোড়বান্দাও ছিলাম বটে। তবে একটু উৎসবমূখর ছিলাম। কিন্তু, সবার হাসিখুশি আবার পছন্দ হতো না। এই যেমন ধরেন, ঈদের সময় তো সবাই আনন্দ করবে কিন্তু তখন আমার আনন্দ করতে ভালো লাগতো না। কারন, এখন তো সবাই আনন্দ করছে আমি আনন্দ না করলে কারোর কোনো যাবে-আসবে না। আবার কোথাও গানের কনসার্ট হলে সবাই তো যেয়ে লাফালাফি করবে,হৈ-হুল্লোড় করবে এটা আমার মোটেও পছন্দ হয় না। আমি মনে মনে তখন নিজেকে খুব ধার্মিক ভাবতে শুরু করি। মনে মনে ভাবতাম, আমার ধর্মে তো এই উচ্ছৃঙ্খলার জায়গা নাই তো আমি ঠিকই আছি।আর আল্লাহ এদের হেদায়েত দিক। এর জন্য বর্তমান সমাজ আমাকে অসামাজিক ভাবতে পারে। তাহলে হ্যা আমি অসামাজিক। আমি কেমন অসামাজিক আপনাদের একটু ধারণা দিই। মনে করেন,আমাদের বাসায় যদি নতুন মেহমান আসে তখন আমার যে কি লজ্জা লাগে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি মনে মনে বলি বাসায় মেহমান না আসলে ভালোই হতো। এই যে মনে করেন,নতুন বা পুরাতন কোনো মেহমান বাসায় আসলে তাদের সাথে আমাদের প্রথম কথোপকথন কী  হবে, ‘এই যে ওমক কেমন আছেন?’ আবার মেহমান বাসা থেকে চলে যাওয়ার সময় একটা সাধারণ কথা বলতে হয়,’আবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেন ।‘ এই কথাগুলা বলা যেনো বাধ্যতমূলক। এটার জন্য আমার লজ্জাই মুখ লাল হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

Wednesday, January 16, 2019

অসফলতার গল্প

মানুষ! নামটা শুনলেই ভালো/খারাপ দুইধরনের চিন্তা মাথায় আসে। কিছু কিছু সময় নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে অনেক ভালো লাগে। আবার কিছু কিছু কারনে খুবই লজ্জাবোধ হয়। আসলে আল্লাহ আমাদের সর্বশ্রেষ্ট মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। এমনকি তিনি আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানোর আগে আমাদেরকে দিয়ে প্রতিজ্ঞাও করিয়েছেন, যেনো আমরা পৃথিবীতে গিয়ে একমাত্র তারই ইবাদত করি। অথচ আমরা মানবজাতি কি সহজেই আমাদের প্রতিজ্ঞা ভুলে যাই। আমারা পৃথিবীতে শুধু আমাদের নিয়েই ভাবি।



সফল হই বা ব্যর্থ হই আমরা আমাদেরকে নিয়েই সবসময় ভাবতে পছন্দ করি। আসলে জীবনে সফল হওয়া এতোটা সোজা না। যে বা যারা সফল হয়েছে তাদের জীবনের অসফলতার গল্প কোন অংশেই কম না। এসব অসফল গল্পগুলোর মিশ্রনের ফলেই আজ সে সফল। আসলে প্রকৃতি অনেক কঠিন, আপনাকে কোন কিছুই এতো সহজে দিবে না। এ পি জে আবুল কালাম স্যার এর কথার সাথে মিলিয়ে বলতে হয় 'সূর্যের মতো তেজোদ্দীপ্ত হতে হলে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।' 

আজ যে ব্যক্তি সফল, তার জীবনের প্রথম দিকের অসফল গল্পগুলো সে এখন অকপটে স্বীকার করে নেয় এবং মানুষকে হাল ছাড়তে নিষেধ করে। অথচ সে কিন্তু একসময় অত্যন্ত বাজেভাবে অসফল ছিলো এবং সে সবসময় সবার কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকতো। যাতে কেউ তাকে কোনকিছু জিজ্ঞাসা করার সুযোগ না পায়। সে সবসময় একা একা থাকতে পছন্দ করতো। কিন্তু, তার মনে অদম্য ইচ্ছা ছিলো। সে তার পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব সকল থেকে কিছুদিন দূরে সরে থাকলো, যাতে কেউ তাকে ব্যর্থতার কথা মনে করিয়ে না দেই। যখন সে আস্তে আস্তে সফল হয় তখন তার জীবনে অতীতে ঘটে যাওয়া সকল অসফল গল্পগুলো মনে করে এবং মুচকি মুচকি হাসে। সে যদি সুযোগ পায় বুক উচিয়ে তার অসফলতার গল্প মানুষকে বলে অনুপ্রেরণা দিবে। তাই আমি বলি-"তোমার জীবনে এই সময়ের অসফল গল্পগুলো মানুষের কাছে বলতে যতোই লজ্জা লাগুক, ভবিষ্যতের জন্য তুমি প্রস্তুত হও। তুমি যদি ভবিষ্যতে সফল হও তখন তোমার ঐ অসফলতার গল্পগুলো মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা হবে এবং তুমি গর্বের সহিত সেগুলো বলে বেড়াবা।" 

কোভিড ১৯ – নোবেল করোনা ভাইরাস এবং বাংলাদেশ

  বর্তমান বিশ্বে সবার মুখে একটাই আতঙ্ক “ নোবেল করোনা ভাইরাস” । সবধরনের মানুষই এই ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত। অত্যন্ত দুঃখের সাথে একটা ...